বিশ্বের মধ্যে অন্যান্য দেশের তুলনায় সবচেয়ে বৃহত্তম এবং উন্নত রাষ্ট্র বলা হয় রাশিয়া দেশকে। কারণ রাশিয়ায় বিভিন্ন উন্নতি প্রযুক্তির মাধ্যম রয়েছে। প্রতিবছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে রাশিয়ায় শ্রমিক নিয়োগ করা হয়। বর্তমানে রাশিয়ার ভিসা করতে খরচ হয় ১০ লক্ষ টাকা থেকে ১২ লক্ষ টাকা। কারণ বিশাল ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে টাকা কম বেশি খরচ হতে পারে।
বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা রয়েছে। পড়াশোনার জন্য যেতে চাইলে আপনাকে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এবং ভ্রমণ করার জন্য সবচেয়ে উপযোগী একটি দেশ হলো রাশিয়া। কারণ সেখানে অনেক প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং বিভিন্ন পর্যটক কেন্দ্র রয়েছে। রাশিয়ায় ভ্রমণ করতে যেতে চাইলে টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এবং কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
রাশিয়ার ভিসার দাম কত
বর্তমানে রাশিয়ার প্রতিটি ভিসার ক্যাটাগরির জন্য ভিন্ন ভিন্ন ভিসা প্রসেসিং খরচ নির্ভর করে। বিশেষ করে সবাই কাজের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য রাশিয়ার ভিসার দাম সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে। বর্তমানে রাশিয়ার স্টুডেন্ট ভিসা এবং টুরিস্ট ভিসা করতে সবচেয়ে কম খরচ হয়। আপনি সর্বোচ্চ ৬ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ৮ লক্ষ টাকার মধ্যে স্টুডেন্ট এবং টুরিস্ট ভিসা করতে পারবেন।
রাশিয়া কাজের ভিসা ২০২৫
বর্তমান রাশিয়ার কাজের ভিসা করতে খরচ হবে সর্বোচ্চ ১২ লক্ষ টাকা। কারণ অন্যান্য ভিসার তুলনায় সবচেয়ে কাজের ভিসা করতে বেশি টাকা খরচ হয়। কারণ এই দেশে যে কোন কাজ করলেই বেশি টাকা বেতন পাওয়া যায়। এবং আপনি যদি সরকারিভাবে কাজের ভিসা যেতে পারেন তাহলে সবচেয়ে কম খরচ হবে। সরকারিভাবে রাশিয়া আর কাজের ভিসা করতে খরচ হয় ৫ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬ লক্ষ টাকা।
বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া যেতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ার যেতে চাইলে ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী টাকা লাগে। কারণ স্টুডেন্ট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা এবং কাজের ভিসা রয়েছে। এই তিন ধরনের ভিসায় সবচেয়ে বেশি মানুষ রাশিয়ায় যায়। বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ার ভিসা পাওয়া বর্তমান অনেক কঠিন হয়ে গেছে। খুব সহজেই রাশিয়ার ভিসা পাওয়া যায় না। বাংলাদেশ থেকে আপনি যদি সরকারিভাবে যেতে চান তাহলে সর্বোচ্চ ৬ লক্ষ টাকা লাগবে। এবং বেসরকারিভাবে কোন এজেন্সির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে যেতে চাইলে ৮ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১২ লক্ষ টাকা লাগবে।
রাশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫
অন্যান্য ভিসার তুলনায় সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। রাশিয়ার অর্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার পর প্রসেসিং হতে সর্বোচ্চ ২০ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। এবং অন্যান্য ভিসার তুলনায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ একটু বেশি। সর্বনিম্ন ১৯ বছর বয়স হলেই আপনি রাশিয়ার ওয়ার্ক পারমিন ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। বর্তমান রাশিয়ায় পারমিন ভিসা করতে খরচ হবে 10 লক্ষ টাকা থেকে 12 লক্ষ টাকা।
রাশিয়া ভিসা আবেদন
যে কোনো ক্যাটাগরির ভিসা পেতে চাইলে অবশ্যই প্রথমে আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। রাশিয়ার ভিসা আবেদনের জন্য নির্দিষ্ট একটি ওয়েবসাইট রয়েছে। বোয়েসেলের মাধ্যমে আপনি রাশিয়ার ভিসার আবেদন করতে পারবেন। প্রথমে গুগল ক্রোমে প্রবেশ করে (Russia visa apply) লিখে সার্চ করে সার্কুলার অনুযায়ী অনলাইনের মাধ্যমেও ভিসা আবেদন করা যায়। অথবা এজেন্সির মাধ্যমে রাশিয়ার ভিসা আবেদন সম্পূর্ণ করবেন।
রাশিয়া ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
যে কোনো ধরনের রাশিয়ার ভিসা পেতে চাইলে ক্যাটেগরি অনুযায়ী কিছু কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে। আমাদের দেওয়া কাগজপত্র গুলো সংগ্রহ করে এজেন্সির মাধ্যমে জমা দিলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আপনি রাশিয়ার ভিসা পেয়ে যাবেন। দেখে নিন রাশিয়ার ভিসা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহ।
১/ আপনার বৈধ পাসপোর্ট (৬ মাস মেয়াদ থাকতে হবে)
২/ তিন মাসের মধ্যে সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি।
৩/ জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন।
৪/ মেডিকেল সার্টিফিকেট।
৫/ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স।
৬/ কাজের ভিসা হলে অভিজ্ঞতার সনদপত্র।
৭/ ভিসা আবেদন ফরম।
৮/ কোম্পানির ভিসা হলে ওই কোম্পানির সনদপত্র।
শেষ কথা
রাশিয়া যাওয়ার আগে অবশ্যই ভিসার দাম সম্পর্কে জেনে নেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কারণ অনেক সময় দাম না জানার কারণে আমাদের কাছ থেকে বেশি টাকা হাতিয়ে নেয়। ইতিমধ্যে আমরা এই পোস্টে বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া যেতে কত টাকা লাগে এবং বর্তমান বিভিন্ন ক্যাটাগরির রাশিয়ার ভিসার দাম কত উল্লেখ করেছি। আশা করি আপনার উত্তর গুলো এই পোস্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। ধন্যবাদ
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.