অন্যান্য দেশের তুলনায় অর্থনৈতিক দিক থেকে কুয়েত অনেক এগিয়ে আছে। কারণ বর্তমান কুয়েতের টাকার মান সব থেকে বেশি। কুয়েতে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ কোম্পানির কাজের উদ্দেশ্যে কুয়েত যায়। প্রত্যেকে এই কুয়েত কোম্পানিতে কাজ করার আগে বেতন সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে।

বর্তমানে কুয়েতের কোম্পানি ভিসায় গেলে বেতন নির্ধারণ করা হয় ৩৫ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা। এবং কাজের অভিজ্ঞতা বেশি থাকলে বেতন অনেকটাই বেশি পাওয়া যায়। কুয়েতে বিভিন্ন ধরনের কাজ পাওয়া যায়। কুয়েতের সর্বনিম্ন বেতন সহ অন্যান্য কাজের বেতন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই পোস্টটি পড়তে থাকুন।

কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত

বাংলাদেশ থেকে কোন এজেন্সির মাধ্যমে অল্প কিছু টাকা খরচ করেই কোম্পানির ভিসা পাওয়া যায়। বাংলাদেশে ভালো কর্মস্থান না থাকায় মানুষ এখন কুয়েতে চলে যাচ্ছে। বর্তমানে কুয়েতের কোম্পানি ভিসা চালু রয়েছে। আপনার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এবং কাজের অভিজ্ঞতা বেশি থাকলে বেতন বেশি পাবেন। নতুন অবস্থায় কোম্পানিতে কাজ করলে 35 থেকে 60 টাকা বেতন পাবেন। এবং কাজের অভিজ্ঞতা হয়ে গেলে সর্বোচ্চ 1 লক্ষ টাকা পর্যন্ত বেতন উত্তোলন করতে পারবেন।

কুয়েত বেতন কত ২০২৫

কাজের ক্যাটাগরি অনুযায়ী বেতন নির্ধারিত হয়। কুয়েতে বিভিন্ন ধরনের কাজ পাওয়া যায়। বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক মানুষ কুয়েতে কাজের উদ্দেশ্যে বসবাস করে থাকে। আপনাদের সুবিধার্থে কুয়েতের বিভিন্ন কাজের বেতন উল্লেখ করেছে। দেখে নিন কোন কাজের কত টাকা বেতন দেওয়া হয়।

  1. ড্রাইভিং কাজের বেতন ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা।
  2. ইলেকট্রিশিয়ান কাজের বেতন ৬৫ থেকে ৭৫ হাজার টাকা।
  3. কনস্ট্রাকশন কাজের বেতন ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকা।
  4. মেকানিক্যাল কাজের বেতন ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।
  5. ওয়েল্ডার কাজের বেতন ৩৫ থেকে ৪৫ হাজার টাকা।
  6. হেল্পার এর কাজের বেতন ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা।
  7. ডেলিভারি ম্যান এর কাজের বেতন ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা।

কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত

প্রত্যেকটা কাজের সর্বনিম্ন বেতন ভিন্ন ভিন্ন রয়েছে। কাজের অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারণ করা হবে। আপনি যদি নতুন অবস্থায় কোন অভিজ্ঞতা ছাড়া কুয়েত যান তাহলে সর্বনিম্ন 30 থেকে 35 হাজার টাকা বেতন উত্তোলন করতে পারবেন।

কুয়েত কোম্পানি ভিসা পাওয়ার উপায়

অন্যান্য ভিসার তুলনায় কুয়েতের কোম্পানি ভিসার চাহিদা বেশি রয়েছে। সরকারি এবং বেসরকারিভাবে বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যাওয়া যায়। সরকারিভাবে কুয়েতের কোম্পানি ভিসা অল্প কিছু টাকা খরচ করে পাওয়া যায়। এবং বেসরকারিভাবে কুয়েতের কোম্পানির ভিসা পেতে একটু বেশি টাকা খরচ হয়। কুয়েতের কোম্পানিতে সার্কুলার দিলে বাংলাদেশের কোন এজেন্সির মাধ্যমে আপনি কোম্পানির ভিসা করতে পারবেন।

শেষ কথা

বর্তমানে অনেক প্রতারক দালাল রয়েছে তারা ভুয়া বেতনের কথা বলে কুয়েতে পার করে দেয়। প্রতারিত হওয়া থেকে বাঁচতে সাধারণ গ্রাহকরা এখন কুয়েতে যাওয়ার আগে বিভিন্ন কাজের বেতন সম্পর্কে জানার চেষ্টা করে। আপনাদের সুবিধার্থে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত এবং আরো বিভিন্ন কাজের বেতন উল্লেখ করেছি। আশা করি এই পোস্ট থেকে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছেন।